Python Programming For Little Stars ~Yeasir Arafat Ratul Publisher - Odommo Prokash
পাইথন প্রোগ্রামিং ফর লিটল স্টারস *~ ইয়াসির আরাফাত রাতুল* প্রকাশনী - অদম্য প্রকাশ
CHAPTERS
- প্রোগ্রামিং পরিচিতি
- চলো অজগরকে বাসায় আনি
- পাইথনের অ আ ক খ
- পাইথন অপারেটরস
- ডেটা টাইপ
- ডেটা স্ট্রাকচার
- কন্ডিশন
- লুপ
- ফাংশন
- ক্লাস
- ওয়ার্ড গেম Guess The Word
মন্তব্য
"বাংলা ভাষায় এ রকম অসাধারণ একটি উদ্যেগ নেয়ার জন্য প্রথমেই আমি রাতুলকে ধন্যবাদ জানাই। ছোটদের জন্য এরকম প্রোগ্রামিং এর বই আমাদের আরো বেশি বেশি দরকার। এই শতাব্দীতে অংক বা ইংরেজির মতোই কোডিং বা প্রোগ্রামিং একটি অত্যাবশ্যক বিষয় হতে যাচ্ছে বা হয়ে গিয়েছে। আমাদের বাচ্চাদের কোডিং বা প্রোগ্রামিং এর হাতে খড়ি দিতে, এই বিষয়ে উৎসাহিত করতে এরকম সহজ ভাষায় লেখা এবং সহজ বোধগম্য একটি বই অনেক উপকারী হবে বলেই আমি বিশ্বাস করি।" ~মোঃ আবু ওবায়দা; সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার; মেটা (ফেসবুক)
"ইদানিং একটা কথা বেশ শোনা যাচ্ছে তা হলো বাচ্চাদের কোডিং শেখাতে হবে। এর পক্ষে বলা লোকের যেমন অভাব নেই তেমনি বিরোধীপক্ষ যথেষ্ট সরব। যারা কোডিং কিংবা প্রোগ্রামিং তাদের বাচ্চাদেরকে ছোটবেলা থেকেই শেখাতে চান তাদের যুক্তি হলো যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বাচ্চাদেরকে বড় করা যাতে চাকুরী ক্ষেত্রে সুবিধা পায়। অন্যদিকে অনেকেই মনে করেন বাচ্চাদেরকে এসব শেখানো সময় নয়। বাচ্চাদেরকে বাচ্চাদের মত করে বেড়ে উঠতে দেয়া উচিত। একথা অনস্বীকার্য যে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা এবং মানুষের কাছে সোশ্যাল মিডিয়ার উপস্থিতির কারণে মানুষের জানাশোনার পরিসর যেমন বেড়েছে তেমনি আকাঙ্ক্ষা ও বেড়েছে। বিশেষ করে এই সময়ের জনপ্রিয় বিষয়গুলোর মধ্যে আছে ডাটা সায়েন্স। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের বাবা-মা এবং তরুণ নতুন বাবা-মা তাদের বাচ্চাদেরকে আগামী দিনের জন্য প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কোডিং শেখাতে চাইছেন। এই সময়ে এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটির অংশহিসেবে খেলাধুলা শিল্পকলা, সাঁতার শেখা, কারাতে যুদ্ধ জিমন্যাস্টিকস বেশ জনপ্রিয়। সেই সাথে যুক্ত হয়েছে প্রোগ্রামিং শেখা। এটা সময়ের প্রয়োজনে হয়েছে তেমনটি বলা যায়। ঠিক কত বছর বয়স থেকে প্রোগ্রামিং শেখানো উচিৎ সেটি শিক্ষাবিদরা বলতে পারবেন। তবে প্রোগ্রামিং শেখা এবং কম্পিউটারকে নির্দেশনা দিয়ে কাজ করিয়ে নেয়ার মধ্যে যে আনন্দ আছে এই আনন্দ যদি শিক্ষার্থীদের কে দেখিয়ে দেওয়া যায় তাহলে এটি একাধারে যেমন বিনোদন দিতে পারে তেমনি বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়নে পজিটিভ প্রভাব ফেলতে পারে। কোডিং তথা প্রোগ্রামিং এর মূল কাজ হচ্ছে কম্পিউটারকে নির্দেশনা দিয়ে কাজ করিয়ে নেয়া। পরবর্তী ধাপ হচ্ছে এই কাজগুলো কত অল্প সময়ে করিয়ে নেয়া যায় সেভাবে সমস্যাগুলোকে ছোট ছোট ভাবে ভাগ করে ধাপে ধাপে অথবা সমান্তরালে কম্পিউটারকে দিয়ে করিয়ে নেয়ার জন্য ইনস্ট্রাকশন বা নির্দেশনা তৈরি করা। এর পরবর্তী ধাপে রয়েছে এই পুরো ব্যাপারটিকে ব্যাপক পরিমাণ ডেটার উপরে চালিয়ে এফিশিয়েন্টলি কম্পিউটারকে দিয়ে কাজ করানো। এই পুরো প্রসেসের মধ্যে যেমন লজিক ডেভেলপমেন্ট শেখার সুযোগ রয়েছে তেমনি রয়েছে একটা সমস্যাকে কিভাবে ধাপে ধাপে সমাধান করে করা যায় তার চর্চা। এ ধরনের ট্রেনিং নেয়ার সুযোগ একটা সময়ে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলে হতো। জনগোষ্ঠীর হাতেগোনা একটা অংশ যারা স্কুল লেভেল থেকেই এ ধরনের অ্যাকটিভিটিতে অংশ নেয়ার সুযোগ পেত। এই ব্যাপারটির এখন সার্বজনীন রূপ পেয়েছে। অন্ততপক্ষে এটুকু বলা যায় পিতা-মাতা এবং শিক্ষাবিদরা এই বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয় স্কুল লেভেল এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে প্রাথমিক স্কুল লেভেল থেকেও এ ধরনের ট্রেনিং এর সাথে শিক্ষার্থীদের কে পরিচিত করানোর কথা শোনা যাচ্ছে। এর নেট এফেক্ট পজিটিভ বলে আমি মনে করি। শিক্ষার্থীরা ন্যাচারালি ট্যালেন্টেড। কারো ট্যালেন্ট বিকশিত হয় দ্রুত, কারো বিকশিত হতে সময় নেয়। কোডিং শেখার মাধ্যমে তাদের ন্যাচারাল ট্যালেন্ট দ্রুত বিকশিত হতে পারে বলে ধারণা করি। এটি হতে পারে বিনোদনের একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে ছোট ছোট সমস্যা সমাধানের প্র্যাকটিস করে একসময় এই শিক্ষার্থীরাই বড় বড় সমস্যার সমাধান করবে। এই বইটি প্রোগ্রামিং শেখার জন্য চমৎকার একটি রিসোর্স। আশাকরি বইটি তার কাঙ্খিত উদ্দেশ্য পূরণ করবে।" ~এনায়েতুর রহীম, পি এইচ ডি; প্রিন্সিপাল ডেটা সায়েন্টিস্ট; কনসার্ট-এ আই, যুক্ত্ররাষ্ট্র; প্রতিষ্ঠাতা; ডেটাস্কুল
"অবশ্যই বাচ্চাদের যত দ্রুত সম্ভব প্রোগ্রামিং শেখা প্রয়োজন। এই ফিল্ডটা খুবই কম্পেটিটিভ আর চ্যালেঞ্জিং। তাই যদি আপনি আগেভাবেই প্রোগ্রমিং শিখে নিজের প্রবলেম সলভিং স্কিলগুলো ডেভেলপ করে ফেলতে পারেন, তাহলে আপনার জন্য সামনের রাস্তাগুলো খুবই সহজ হবে। আপনি প্রথমে অ্যাকচুয়াল প্রোগ্রামিং এর কনসেপ্টগুলো আয়ত্বে আনবেন, তারপর সেগুলো অ্যাপ্লাই করে আপনি আপনার প্রবলেম সলভিং স্কিল ডেভেলপ করবেন। এগুলো যতো প্র্যাক্টিস করবেন, আপনার স্কিল ততোই ইম্প্রুভ হবে। তারপর আপনি মার্কেট অনুযায়ী বিভিন্ন টেক শিখে সেখানে আপনি অ্যাকচুয়াল রিয়েল লাইফ অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করার সুযোগ পাবেন। আপনি এতে যতো তাড়াতাড়ি শুরু করতে পারবেন আপনি ঠিক ততোটাই ইউসড টু হয়ে যাবেন, আপনি ঠিক ততোটাই এক্সপেরিয়েন্সড হয়ে যাবেন, ততোটাই আপনার এই জিনিসটার প্রতি একটা প্যাশন ক্রিয়েট হবে। বাচ্চারা সাধারনত নতুন একটা জিনিস খুব দ্রুত ক্যাচ করতে পারে, শিখে ফেলতে পারে, তাই আমি মনে করি তাদের ঠিক এরকম সময়েই প্রোগ্রামিং শেখায় মনোনিবেশ করা উচিত। এতে তারা শিখতেও পারবে দ্রুত এবং এটার প্রতি একটা প্যাশনও তৈরী হবে। আজকালকার বাচ্চারা সাধারনত গেইমস খেলে বা অপ্রয়োজনীয় কাজ করে তাদের অবসর সময়গুলো কাটিয়ে থাকে। কিন্তু একবার চিন্তা করে দেখুন তাদের মনের মধ্যে যদি এরকম একটা প্যাশন ক্রিয়েট করা যায় যেটা ইঞ্জয়েবল এবং পরবর্তিতে সেটা তার ক্যারিয়ারেও অনেক বিশাল একটা ছাপ রেখে যেতে পারবে? হ্যা সেটাই আসলে প্রোগ্রামিং এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মধ্যে করা সম্ভব।
এই বইয়ের টপিকগুলো অবশ্যই বাচ্চাদের জন্য সহজবোধ্য হবে। তবে একেকজনের ধারণক্ষমতা একেকরক হবে, অনেকে ফাস্ট লার্নার হতে পারে, আবার অনেকে স্লো। সেক্ষেত্রে অনেকের জন্য চ্যালেঞ্জিংও হতে পারে। তবে যার কাছে যেমনই হউক না কেন যথেষ্ট প্র্যাক্টিসের মধ্যে থেকে লার্নিং চালিয়ে গেলে আশা করি সবকিছু খুবই সহজবোধ্য হয়ে উঠবে। আপনি যে টপিকটা পড়বেন, পড়ার পাশাপাশি সেটা প্র্যাক্টিস করেও বুঝার চেষ্টা করবেন আপনি বিষয়টা কতটুকু বুঝতে পেরেছেন। এখানে প্র্যাক্টিসের কোনো বিকল্প নেই!" ~জুনায়েদ আহমেদ; সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার; ইঙ্কসাব এল এল সি; লেখক; হাতে কলমে জাভাস্ক্রিপ্ট
"এই বইটি অনেক সুন্দর এবং সাবলীল ভাষায় লিখা হয়েছে যা ছোটদের জন্য অনেক আকর্ষনীয় হবে বলে আশা করি। ছোট বাচ্চারা যারা প্রোগ্রামিং শুরু করতে যাচ্ছে তাদের জন্য এটা একটা দিক নির্দেশক বই হিসেবে গুরুত্ব রাখবে। ধন্যবাদ জানাই লেখক রাতুল ভাইকে এতো সুন্দর একটি বই লিখার জন্য" ~মুন্তাকিমুর রহমান; বিগ ডেটা ইঞ্জিনিয়ার; লিডিং ডেটা সলিউশন্স; সিডনি, এন এস ডব্লিউ, অস্ট্রেলিয়া